Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র

 

১. যেগীপাড়া ইউপি অফিস, যোগীপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী

আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের উপর তলায় কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রেরজন্য একটা চেম্বারও রয়েছে । তবে সেখানে তিনি বা কোন ডাক্তার বসেন না।এছাড়াওআমাদের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন পুর্ব উত্তর ধারে একটিকৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে যা এই এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ সেবারমাধ্যম ছিল ।এখন তা সম্পুর্ন বন্ধ রয়েছে ।এই এলাকার স্থানীয় পশু চিকিতসকগনগৃহপালিত পশু যেমন- গরু,ছাগল,ভেড়া ও অন্যান্য পশুপাখির সু-চিকিতসা প্রদানতরে থাকেন । তবে এখন অনেক পশুচিকিতসক এলাকায় পশু চিকিতসা করে থাকেন । এইএলাকায় গরু ছাগল পালনের প্রতি মানুষের একটা ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে । আপনাদেরবিশেষ সুবিধার জন্য সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে এমন ব্যবস্থার প্রচলন করেছেন ।
আমাদেরএই এলাকায় ব্যাপকভাবে গরু ছাগল পোষার বা পালনের প্রচলন আদিমকালহতেই। প্রতিদিন প্রায় ৫০-৮০ মন/২০০০-৩০০০ লিটারবিভিন্ন হাটে যেমন,দামনাশহাট,হাট গাঙ্গোপাড়া হাটে উল্ল্যেখযোগ্যভাবে নিয়মিত গরুর দুধ যোগান দিয়েআসছে । একসময় এই এলাকায় গরুর দুধের পাশাপাশি ছাগলের দুধও সমান হারে যোগানদিতো । কিন্ত বর্তমানে ছাগলের দুধ আর মিলেনা । বিশেষ করে ছাগলের দুধেরযোগানে এগিয়ে ছিল , বানইল,জিয়াপাড়া,মাড়িয়া,কোটগ্রাম সমাসপুর ও আরও অন্যান্যগ্রাম যা আজ সামাজিক গোড়ামির স্বীকার । দীর্ঘদিনের হতদরীদ্র মানুষ অনেকটাএই ছাগলেল দুধ ও ছাগল বিক্রয় করে সংসার চালাত। ঘরে বিবাহিতা মেয়ে থাকলেতাকে বিয়ে দেওয়ার সময় ছাগল বিক্রি করা টাকা বিশেষভাবেউপকারে আসতো ।এমনকিএই ছাগল বিক্রি করা টাকা দিয়ে তার মেয়ের বিয়েতে খরচ করতো । অথচ বর্তমানেস্থানীয় কিছু মানুষের স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য এক শ্রেনীর মানুষ এইউপকারী গৃহপালিত ছাগলের সকল প্রকার ক্রয় ও স্থায়ীভাবে পালন নিষিদ্ধ ঘোষনাকরেছে ।অথচ বাংলাদেশ সরকার এই ছাগল পালনের উপর বিভিন্ন ভাতা ও প্রকল্পগ্রহন করেছে । বিশেষ করে একটি বাড়ি একটি খামার এর উল্লেখযোগ্য ও প্রকৃষ্টউদাহরন ।আমি আমার এই এলাকার কোন বদনাম করছিনা বা আমার কথায় কোন অসত্য নেই ।আমাদের প্রানী সম্পদ ও প্রণী প্রজনন নিয়ে প্রতিবেদনের আলোচনা হচ্ছিল যা এইআলোচনার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত কারন যেখানে এক সময় প্রানী সম্পদেরবিশাল বিস্তৃতি ছিল সেখানে আজএমন পরিস্থিতি প্রানীকুলের ধ্বংসের কারন হতেপারে । একবার ভেবে দেখুনতো যদি এইভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিটিউপজেলায়,প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেএমন ঘৃন্যআইন চালু থাকে বাপ্রচলন ঘটে কবে এই দেশের প্রানী সম্পদের কি হাল হবে আর মানুষের প্রয়োজনেব্যবহৃত ছাগলের বিবিধ ব্যবহারের চচাহিদা কে বা কিসে মিটবে? আজদেশের ১৬কোটি মানুষের কাছে এই প্রশ্ন রইল উত্তর দিয়ে যাবেন ।আমাদের এই ইউনিয়নে যেপশু চিকিতসার জন্য কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র খোলা হযেছিল তা আর আগের মতোব্যবহৃত হয় না । কারন এই পশু চিকিতসা স্বেচ্ছা সেবকের মধ্যে পড়ে তাই সরকারএর কোন বেতন কাঠামো করেনি ।তাই সময়ের প্রয়োজনে তাকে পাড়ি জমাতে হয়েছে অন্যকোন পেশায় । তবে আমার জানা মতে তিনি এই এলাকায় এখনও গরু ছাগলের চিকিতসাপ্রদান করেন কিন্ত সম্পুর্ন ব্যক্তিগতভাবে । তার বাড়িতে নিজস্ব জমিতে তারএকটা কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাও চালু রেখেছেন ।বিস্বাসযোগ্য ও দু:খজনকহলেও সত্য যে আমাদের এই এলাকায় এখন কিছু কিছু গ্রামের মানুষ আমাদের সভ্যতা ওউন্নয়নেরপথকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চাই । আমরা এর থেকে মুক্তি চাই । কিসেমিলবে এই মুক্তি? অবশ্যই আমাদের ভুল সিদ্ধান্তকে উপড়ে ফেলে সত্য ও সঠিকসম্ভাবনার বীজ বুনতে হবে তবেই আমাদের হারানো